Saturday, August 19, 2017

Wall's Sind Krait

 
Wall's Sind Krait
(Bungarus Sindanus)
PC:  Alex Murphy




Tuesday, July 11, 2017

বর্ষা মৌসুমে সাপ সঙ্কট


বর্ষা মৌসুমে সাপ সঙ্কট :

evsjv‡`‡ki wewfbœ cÖv‡šÍ hLb mvc gviv nq ev emZ evwo‡Z mvc †`Lv hvq, ZLb A‡b‡KB Avgiv hviv mvc msiÿ‡Y KvR K‡i _vwK Zv‡`i†K ¯§iY K‡i _v‡Kb, G‡Z Avgiv Drmvn †eva Kwi|Avgiv wb‡Ri D‡Ï¨‡M mvc m¤ú‡K© gvbyl‡K m‡PZb Kivi †Póv K‡i _vwK| mvc RvZxq m¤ú`| mvc m¤ú‡K© gvbyl‡K m‡PZb Kivi KvR Avgiv K‡i _vwK wb‡R‡`i we‡e‡Ki Kvi‡Y| wKš‘ mvc †K D×vi K‡i wbivc` ¯’v‡b †Q‡o †`Iqvi KvR Avgv‡`i bv| GwU evsjv‡`k eb wefv‡Mi KvR| Avgiv hviv mvc m¤ú‡K© m‡PZbZv g~jK KvR K‡i _vwK Zviv hw` mvc D×v‡ii KvR I Ki‡Z hvB GB my‡hv‡M wKQz Amvay e¨emvqx mvc cvPvi Kivi my‡hvM †c‡q hv‡e, hv Avgv‡`i Kvg¨ bq|
Avgiv †hB KqRb mvc msiÿ‡Y KvR K‡i _vwK Zviv wbe©vK| Avgv‡`i nvZ cv evav| Avgiv A‡bK wKQy Kivi B”Qv _vK‡jI Ki‡Z cvwi bv|
‡mB Aw` Kvj †_‡KB mvc gvby‡li m¤úK©| mvc gvby‡li eÜz n‡q cÖwZ wbqZ gvby‡li DcKvi K‡i hv‡”Q| Lv`¨ k„•L‡j GK wekvj f~wgKv cvjb K‡i hv‡”Q mvc| Avজ hw` mvc bv _v‡K Zvn‡j Rwg‡Z Bu`yi I e¨v‡Oi msL¨v †i‡o hv‡e| Aci w`‡K †h mKj cvwL mvc Lvq Zviv Lv`¨ msK‡U c‡o hv‡e| G‡Z GK gnvwech©q †b‡g Avm‡e cwi‡e‡k|

GQviv cÖwZ eQi KxUbvkK wQwU‡q ‡hLv‡b m¤ú~Y© fv‡e Bu`yi wbab Kiv hvq bv †mLv‡b hw` 3 GKi Rwg‡Z GKwU `vivR mvc msiÿY Kiv hvq ‡m GKvB H f~wgi Buy`i wbab Ki‡e| GB Qvov Av‡Q KxUcZ½ f‚K wKQz mvc hviv ÿwZ Ki KxUcZ½ †L‡q dmj Drcv`b e„wׇZ mnvqK f~wgKv cvjb K‡i _v‡K| 

GLb Avmv hvK eZ©gv‡bi mvc AvZ¼ wb‡qt
eZ©gv‡b emZ evwo‡Z †mB mv‡ci ev”Pv †`Lv hv‡”Q| H ev”Pv †`i gv evev H emZ evwo‡ZB Av‡Q `xN© w`b a‡i A_ev Pvwiw`‡K el©vi cvwbi Kvi‡Y emZ evwo‡Z †h Bu`y‡ii MZ© ¸jv Av‡Q H¸jv‡Z AkÖq wb‡q Zv‡Z wWg ‡c‡i ev”Pv dzUv‡”Q| mvc mvaviYZ wbkvPi cªvYx Zviv Zv‡`i cÖ‡qvR‡b iv‡Zi †ejvq Pjv‡div K‡i| †hB Kvi‡Y G‡Zv w`b H emZ evwoi gvbyl mvc _vKv Ae¯’vqI †`L‡Z cvqwb| mvc mn hZ eb¨ cªvYx Av‡Q Zviv mevB gvby‡li Av‡kcv‡k _vK‡jI gvbyl‡K Gwo‡q P‡j| GwU GKwU cÖvK…wZK wbqg| mvc GKwU wbe©a cÖvYx †m ZZÿb ch©šÍ gvbyl‡K AvµgY Ki‡e bv hZÿY ch©šÍ †m wb‡R‡K wbivc` g‡b Ki‡e| GB mKj Kvi‡Y mvc emZ evwo‡Z _vK‡jI evwoi †KD †`L‡Z cv‡i bvB| wKš‘ ev”Pv dz‡U hLb mv‡ci evmv †_‡K 2/1 wU ev”Pv †ei n‡q Av‡m ZLbB evwoi gvbyl‡`i `„wó‡MvPi nq| Avi G‡ZB AvZ¼ Qwo‡q c‡o| A_P GB ev”Pv mvc‡`i gv evev `xN© w`b H evwo‡Z emevm Kiv m‡Ë©I Kv‡iv `„wó‡MvPi nqwb| G‡ZB †evSv hvq mvc KZUv cÖvK…wZK wbqg †g‡b P‡j|

mvc †`Lvi c‡iI KiwbI wK? 
1| eb wefv‡Mi cÖwZwU †Rjvq †h eb¨ cÖvYxi kvLv Av‡Q H Lv‡b mvc we‡kÁ _vKv cÖ‡qvRb hv‡Z gvby‡li evwo‡Z mvc †`Lv †M‡j gvbyl `ªæZ eb wefv‡M mnvqZv cvq| Avgiv A‡bKB Rvwb eb wefv‡Mi cÖ‡qvR‡bi Zzjbvq †jvKej A‡bK Kg| G‡ÿ‡Î cÖwZwU †Rjvq †h mvcy‡o Av‡Q Zv‡`i‡K eb wefvMKv‡R jvMv‡Z cv‡i| G‡Z mvcy‡oiv GKwU wbw`©ó bxwZgvjvq P‡j Avm‡e| ZLb emZ evwo‡Z †m mvc †`Lv hv‡e Zv eb wefvM mvcy‡o‡`i mn‡hvwMZvq mvc a‡i †Kvb wbivc` ¯’v‡b †Q‡o w`‡Z cv‡i| G‡ÿ‡Î GKwU welq jÿ ivL‡Z n‡e †Kvb fv‡eB †hb wbwe©l mvc †K cwi‡ek †_‡K miv‡bv hv‡e bv| Av‡iKwU welq †hB mv‡ci wel Av‡Q H mvc¸‡jv Ly‡R †ei Kiv DwPZ n‡e bv| ïaygvÎ †hB mvcwU †`Lv †M‡Q ev AvZ¼ m„wó K‡i‡Q HwU hw` welv³ mvc nq Zv‡KB wbivc` ¯’v‡b ¯’vbvšÍi Kiv ‡h‡Z cv‡i| GwU ïay eb I cwi‡ek gš¿Yvj‡qi KvR bv| Gi mv‡_ m¤úwK©Z K…wl gš¿Yvjq, grm I cï m¤ú` gš¿Yvjq I ¯^v¯’¨ gš¿Yvjq mn mevi mgš^‡q KvR Ki‡Z n‡e| 
2| _vbv ¯^v¯’¨ Kg‡cø‡· Gw›Uf¨vbg msiÿY Kiv Ges Zvi h_vh_ e¨envi wbwðZ Kiv|
3| ¯‹zj K‡jR gv`ªvmv QvÎ-QvÎx‡`i‡K mvc I eb¨ cÖvYx msiÿY m¤ú‡K© m‡PZb K‡i †Zvjv|
4| iv‡Zi †ejv UP© jvBU e¨envi Kiv|
5| el©v †gŠmy‡g mvc Avevm¯’j I Lv`¨ m¼‡U c‡i ZvB GB mgq mvc †`Lv hvq †ewk| G‡ÿ‡Î wbqwgZ evwoi Pvi w`‡K Buy`y‡ii MZ© ¸‡jv eÜ K‡i w`‡Z n‡e Ges Bu`yi hv‡Z cybivq evmv Ki‡Z bv cv‡i Zvi w`‡K `„wó ivL‡Z n‡e| MÖv‡gi evwo †hLv‡b KvV, jvKwo ev Lo ivLv nq Zv wbqwgZ cwi®‹vi Ki‡Z n‡e| Lv‡Ui wb‡P I N‡ii wmwjs wbqwgZ cwi®‹vi ivLv `iKvi|m‡e©vcwi evmv evwo ¸‡jv Bu`yi gy³ K‡i ivL‡Z n‡e|

Sunday, January 29, 2017

বিষধর সাপে কাটলে কি করনীয়

বিষধর সাপে কাটলে কি করনীয়ঃ


১। আক্রান্ত বেক্তির সাথে কথা বলে তাকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে । উত্তেজনায় রোগীর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এতে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আর সাপের কামড়ে অনেকেই মারা যায় মেন্টাল শক জনিত কারণে।
 ২। সাপে কামড়ের আক্রান্ত স্থানের ঠিক উপরে বাঁধন দেয়ার যেই চিরাচরিত নিয়ম ছিল , বর্তমান চিকিৎসা শাস্র তা নিরুৎসাহিত করে থাকে । কিছু কিছু সাপে কাঁটার ফলে বাঁধনে অনেক সময় উপকারের চেয়ে অপকারের সম্ভবনা থাকে বেশী।

৩। রুগীকে কোন পানি পান করানো যাবে না ।
৪। দেহের আঁটোসাঁটো পোশাক, অলংকার ইত্যাদি খুলে ফেলতে হবে । কারন হোল সাপে কাটার পরে রুগীর দৈহিক ও মানুষিক অস্থিরতা চলে আসে , তাই এই সময় যতটা সম্বভ স্বাভাবিক পোশাক রাখা ভালো। আর টাইট কাপড় ও অলঙ্ককার খুলেফেলার অন্যতম কারন হোল অনেক সাপের কামড়ে দেহের Necrosis (দেহাংশের পচনরুপ ব্যাধি ) হয় । যেই কারণে ক্ষতস্থানে ফুলে উঠে পচনের লক্ষণ দেখা যায়। ফলে দেহে অলংকার বা টাইট জামা কাপড় থাকলে তা শরীরের সাথে চেপে বসে । যার ফলে রক্ত চলাচল (Blood cerculation)বন্দো হয়ে অঙ্গ হানীর সম্ভবনা থাকে । তাই এই সব জিনিস খুলে ফেলা ভালো ।
৫। ক্ষতস্থান পরিস্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে , কোন ক্রমেই সাবান দিয়ে ধোয়া যাবে না এবং ক্ষত স্থানে বরফ দিয়ে ঘষা যাবে না ।
৬। মাথা সামান্য উঁচু করে শুইয়ে রাখতে হবে।
৭। আক্রান্ত ব্যক্তিকে একেবারেই নড়াচড়া করতে দেয়া যাবে না। কারণ নড়াচড়া করলেই বিষ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়বে।

৮। আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঘুমাতে দেয়া যাবে না।
৯। ওঝার কাছে না নিয়ে দ্রুত হসাপাতালে নিতে হবে । 


আরো কিছু করনীয় থাকলে আপনারা আমদের জানাতে পারেন , যা জেনে আমরা সকলেই উপকৃত হবো ।

Tuesday, January 10, 2017

ফুলের গন্ধে বিমোহিত সাপ




লোক গল্পে আছে সাপ হাসনাহেনা বা সুগন্ধি ফুলের গন্ধে বিমোহিত হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে। আসলে সাপের ঘ্রাণ শক্তি অত্যন্ত ক্ষীণ বা দুর্বল। হাসনাহেনা কিংবা কোনো সুগন্ধি ফুলের গন্ধে মোহিত হওয়ার মতো ঘ্রাণ শক্তি সাপেদের নেই। সাপেদের এই ইন্দ্রিয় শক্তি নিয়েই আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে নানা লোক গল্প। এমন গল্পও হয়তো শুনেছেন বা কেউ কেউ নিজ চোখেও দেখেছেন যে, সুগন্ধি ফুলের গাছের তলায় সাপ শুয়ে আছে -- কথাটা সত্য । তাই বলে এটা ভাবা ঠিক হবে না যে,ফুলের গন্ধেই আকৃষ্ট হয়ে সাপ সেখানে শুয়ে আছে। বাস্তবতা হোল এসব সুগন্ধি ফুলের ভেতরে এক ধরনের মধু থাকে যা নানারকম কীট-পতঙ্গের প্রধান খাদ্য।আর এই কীট-পতঙ্গের জন্য এসব ফুল গাছে বা গাছের তলায় ছুটে আসে কিছু পতঙ্গভুক্ত প্রাণী--যেমন, টিকটিকি, মাকড়সা, কুনোব্যাঙ ইত্যাদি। আর এই পতঙ্গভুক্ত প্রাণীগুলো সাপেদেরও পছন্দের খাদ্য! সাধারণত সাপ খাওয়া-দাওয়ার পরে বেশি নড়াচড়া করতে পারে না, তাই ফুল গাছের নিচেই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে থাকে। ঠিক এই অবস্থায় চোখে পড়লে আমরা ভাবি, ফুলের গন্ধে মোহিত হয়েই বুঝি সাপ গাছ তলায় এসেছে।
খাদ্য শৃঙ্খলের এই অসাধারণ নিয়মটিই আমাদের সমাজে এক লোক গল্পের সৃষ্টি করেছে ......।।

কৃষি ক্ষেত্রে সাপের ভূমিকা

সাপ আমাদের পরিবেশের অনেক উপকার করে থাকে,আর কৃষি ক্ষেত্রে সাপের ভূমিকা অনেক । বর্তমানে আমাদের দেশের আবাদি জমিতে এক ফসলের পরিবর্তে বহুবিধ ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে। যার ফলে ইঁদুর ফসলি জমিতেই প্রজাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে।  প্রতিবছর বাংলাদেশে ইঁদুরের আক্রমণে আমন ধানের শতকরা ৫-৭ ভাগ, গম ৪-১২ ভাগ, আলু ৫-৭ ভাগ, আনারস ৬-৯ ভাগ নষ্ট করে । গড়ে জমিতে ৫-৭ শতাংশ এবং গুদামজাত শস্য ৩-৫ শতাংশ ক্ষতি করে । এই ছাড়া ৭-১০ ভাগ সেচ নালা নষ্ট করে প্রতি বছর , যা ফসল উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে । ইরির ২০১৩ সালের এক গবেষণা মতে , এশিয়ার ইঁদুর বছরে যা ধান চাল খেয়ে নষ্ট করে তা ১৮ কোটি মানুষের এক বছরের খাবারের সমান । আর শুধু বাংলাদেশের ৫০ থেকে ৫৪ লাখ লোকের এক বছরের খাবার নষ্ট করে। ইঁদুর শুধু আমাদের খাদ্য শস্য খেয়ে নষ্ট করে না বরং তা কেটে কুটেও অনেক নষ্ট করে । এদের মল মূত্র , লোম খাদ্য দ্রবের সাথে মিশে টাইফয়েড , জন্ডিস , চর্ম রোগে ও ক্রিমি রোগ সহ ৬০ ধরণের রোগ ছড়ায় । প্লেগ নামক মারাত্মক রোগের বাহক হচ্ছে ইঁদুর । ইঁদুর মাঠের ও ঘরের শস্য নষ্ট ছাড়াও বৈদ্যুতিক তার, টেলিফোনের তার, ও কম্পিউটার যন্ত্র কেটে নষ্ট করে।  বীজতলা থেকে শুরু করে খাদ্যগুদাম পর্যন্ত ইঁদুরে বিনষ্ট করে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের ৩০ শতাংশ।তাছারা ইঁদুর নিধনে যেই বিষ প্রয়োগ করা হয় সেই বিষের প্রভাবে অন্যান্য প্রাণীও আক্রান্তত হয়ে থাকে।এতে পরিবেশের মারাত্মক ভারসাম্য হানি হয়। এই বিষ খাদ্য বস্তুর মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে নানা বিধ মারাত্মক রোগের প্রভাব বিস্ততার করে , যা আর্থিক ও মানুষিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ করে আমদেরকে । উল্লেখ্য কৃষি কর্মকর্তাদের মতে একটি দারাজ সাপ প্রায় ৩ বিঘা ফসলী জমির ইদুর নিধন করতে সক্ষম।তাই আমরা কীটনাশক ও বিষ প্রয়গ থেকে সরে এসে যদি পরিবেশবান্ধব সাপ সংরক্ষণ করি তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হবো।এতে প্রতিবছর ইঁদুর দমন অভিযানের মাধ্যমে অর্থ ব্যয় এর পরিমাণও কমে যাবে। ইঁদুরের কবল থেকে এদেশকে মুক্ত করতে চাইলে,,, দারাজ সাপ উৎপাদন, সংরক্ষন ও প্রকৃতি থেকে সাপের বংশ বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে এবং আমাদের দেশের সকল মানুষকে দারাজ সাপ সহ সকল সাপ সম্পর্কে সঠিক ধারনা প্রদান করে সাপ সংরক্ষণ করতে হবে যা কৃষি ও কৃষকের জন্য উপকারী। (

  ইঁদুর  মাঠের  ও  ঘরের  শস্য  নষ্ট  ছাড়াও  বৈদ্যুতিক  তার, টেলিফোন  তার  ও  কম্পিউটার  যন্ত্র  কেটে  নষ্ট  করে। এছাড়া  বড় সড়ক  বাঁধ,  রেললাইনে  গর্ত  করে  তা  ক্ষতিগ্রস্ত করে।  বন্যার  পানি  ঢুকে  তা  নষ্ট  হয়।  এ জন্য এর ক্ষতির পরিমাণ পরিসংখ্যানগতভাবে নির্ণয় করা কঠিন। কাজেই ফসল ও সম্পদের ক্ষতি রোধ, জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও দূষণমুক্ত পরিবেশের স্বার্থে ইঁদুর সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে ক্ষেত-খামার, বসতবাড়িসহ সর্বত্র ইঁদুরমুক্ত করার লক্ষ্যে ইঁদুর নিধনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে। ) কৃষি তথ্য সার্ভিস

সাপুড়েদের তাবিজ কবচ কড়ি পরাঃ

সাপে কাটা রুগির সাথে সাপুড়েদের তাবিজ-কবচ আর কড়ি পড়ার সম্পর্ক সেই আদি কাল থেকেই চলে আসছে, যা বর্তমান এই উন্নত আধুনিক চিকিৎসা বেবস্থার সময়েও বিদ্ধমান আছে। কাউকে সাপে কাটলে প্রথমেই মাথায় আসে সাপুড়েদের খোঁজের চিন্তা। এখনো আমাদের ধ্যানধারণা সেই আদি কালেই পরে রয়েছে। তার সাথে আমাদের মনে সাপুড়েদের সম্পর্কে বিশ্বাসটাকে আরও জীবন্ত করে তুলে আমাদের চিত্র জগত। সাপুড়েদের তন্ত্রে মন্ত্রে আর কড়ি চালানে সাপ ছুটে এসে কামড়ের জায়গা থেকে বিষ চুষে নেয়।এই ব্যাপারটা আমরা অনেকেই এখনো বিশ্বাস করে থাকি , যা পুরোপুরি ধাপ্পা বাজী ছাড়া আর কিছুই না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সাপে কাটা রুগিরা সাপুড়েদের মন্ত্র তন্ত্রের পরে ভালো হয়ে যায় । আসল ব্যাপারটা হোল আমাদের দেশের বেশীর ভাগ সাপেই নির্বিষ প্রজাতির , যা আমরা অনেকেই জানি না। নির্বিষ প্রজাতির সাপের কামড়ে অনেক জ্বালা পোড়া করে এবং আমরা ভয়ে আতংকে গেয়ান হারায়ে ফেলি। সাপুরেরা এই ব্যাপারটিকেই লুফে নেয়। সাপুড়েরা দীর্ঘ দিনের অনুশীলনের দ্বারা যেমন সাপ ধড়া রপ্ত করে, তেমনি সাপের কামড় দেখে তারা বুঝতে পারে সাপটি বিষধর ছিল নাকি নির্বিষ ছিল। কিছু নির্বিষ সাপেকাটা রোগিকে বিষধর সাপে কাটা বলে মন্ত্র-তন্ত্র পাঠ করে নিজের কৃতিত্ব জাহির করে সাপুড়েরা। কিন্তু বিষধর সাপেকাটা রুগীদের ক্ষেত্রে সাপুড়েদের চিত্র হয় ভিন্ন। তাই যেই কোন সাপেই কামড় দেকনা, আতংকিত না হয়ে রুগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেয়া উচিৎ।