সাপে কাটা রুগির সাথে সাপুড়েদের তাবিজ-কবচ আর কড়ি পড়ার সম্পর্ক সেই আদি
কাল থেকেই চলে আসছে, যা বর্তমান এই উন্নত আধুনিক চিকিৎসা বেবস্থার সময়েও
বিদ্ধমান আছে। কাউকে সাপে কাটলে প্রথমেই মাথায় আসে সাপুড়েদের খোঁজের
চিন্তা। এখনো আমাদের ধ্যানধারণা সেই আদি কালেই পরে রয়েছে। তার সাথে আমাদের
মনে সাপুড়েদের সম্পর্কে বিশ্বাসটাকে আরও জীবন্ত করে তুলে আমাদের চিত্র জগত।
সাপুড়েদের তন্ত্রে মন্ত্রে আর কড়ি চালানে সাপ ছুটে এসে কামড়ের জায়গা থেকে
বিষ চুষে নেয়।এই ব্যাপারটা আমরা অনেকেই
এখনো বিশ্বাস করে থাকি , যা পুরোপুরি ধাপ্পা বাজী ছাড়া আর কিছুই না। কিছু
কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সাপে কাটা রুগিরা সাপুড়েদের মন্ত্র তন্ত্রের পরে
ভালো হয়ে যায় । আসল ব্যাপারটা হোল আমাদের দেশের বেশীর ভাগ সাপেই নির্বিষ
প্রজাতির , যা আমরা অনেকেই জানি না। নির্বিষ প্রজাতির সাপের কামড়ে অনেক
জ্বালা পোড়া করে এবং আমরা ভয়ে আতংকে গেয়ান হারায়ে ফেলি। সাপুরেরা এই
ব্যাপারটিকেই লুফে নেয়। সাপুড়েরা দীর্ঘ দিনের অনুশীলনের দ্বারা যেমন সাপ
ধড়া রপ্ত করে, তেমনি সাপের কামড় দেখে তারা বুঝতে পারে সাপটি বিষধর ছিল
নাকি নির্বিষ ছিল। কিছু নির্বিষ সাপেকাটা রোগিকে বিষধর সাপে কাটা বলে
মন্ত্র-তন্ত্র পাঠ করে নিজের কৃতিত্ব জাহির করে সাপুড়েরা। কিন্তু বিষধর
সাপেকাটা রুগীদের ক্ষেত্রে সাপুড়েদের চিত্র হয় ভিন্ন। তাই যেই কোন সাপেই
কামড় দেকনা, আতংকিত না হয়ে রুগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment