২। সাপে কামড়ের আক্রান্ত স্থানের ঠিক উপরে বাঁধন দেয়ার যেই চিরাচরিত নিয়ম ছিল , বর্তমান চিকিৎসা শাস্র তা নিরুৎসাহিত করে থাকে । কিছু কিছু সাপে কাঁটার ফলে বাঁধনে অনেক সময় উপকারের চেয়ে অপকারের সম্ভবনা থাকে বেশী।
৩। রুগীকে কোন পানি পান করানো যাবে না ।
৪। দেহের আঁটোসাঁটো পোশাক, অলংকার ইত্যাদি খুলে ফেলতে হবে । কারন হোল সাপে কাটার পরে রুগীর দৈহিক ও মানুষিক অস্থিরতা চলে আসে , তাই এই সময় যতটা সম্বভ স্বাভাবিক পোশাক রাখা ভালো। আর টাইট কাপড় ও অলঙ্ককার খুলেফেলার অন্যতম কারন হোল অনেক সাপের কামড়ে দেহের Necrosis (দেহাংশের পচনরুপ ব্যাধি ) হয় । যেই কারণে ক্ষতস্থানে ফুলে উঠে পচনের লক্ষণ দেখা যায়। ফলে দেহে অলংকার বা টাইট জামা কাপড় থাকলে তা শরীরের সাথে চেপে বসে । যার ফলে রক্ত চলাচল (Blood cerculation)বন্দো হয়ে অঙ্গ হানীর সম্ভবনা থাকে । তাই এই সব জিনিস খুলে ফেলা ভালো ।
৫। ক্ষতস্থান পরিস্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে , কোন ক্রমেই সাবান দিয়ে ধোয়া যাবে না এবং ক্ষত স্থানে বরফ দিয়ে ঘষা যাবে না ।
৬। মাথা সামান্য উঁচু করে শুইয়ে রাখতে হবে।
৭। আক্রান্ত ব্যক্তিকে একেবারেই নড়াচড়া করতে দেয়া যাবে না। কারণ নড়াচড়া করলেই বিষ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়বে।
৮। আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঘুমাতে দেয়া যাবে না।
৯। ওঝার কাছে না নিয়ে দ্রুত হসাপাতালে নিতে হবে ।
আরো কিছু করনীয় থাকলে আপনারা আমদের জানাতে পারেন , যা জেনে আমরা সকলেই উপকৃত হবো ।
No comments:
Post a Comment