Tuesday, December 20, 2016

Banded Krait

 শঙ্খিনী সাপ
Banded Krait
SN: Bungarus fasciatus
PC: 1.Prosenjit Debbarma
2. Foyjullah Al Numan

আকার ও আক্রিতিঃ

 সভাবঃ 


খাদ্যঃ

  প্রজননঃ 


বসবাসঃ

 অবস্থানঃ 

 বৈশ্বিক অবস্থানঃ

 বিষের ধরণ ও বিষের ক্রিয়াঃ

 প্রকৃতিতে এদের ভুমিকাঃ

 সাবধানতাঃ



 শঙ্খিনী বা ভোতালেজ কেউটে বা ডোরা কাল কেউটে বা ডোরা শঙ্খিনী (ইংরেজি: Banded Krait) বৈজ্ঞানিক নাম: Bungarus fasciatus) হচ্ছে এলাপিডি পরিবারভুক্ত এক প্রকার বিষধর সাপ। এটি Bungarus গণের আওতাভুক্ত। এই সাপের বিস্তৃতি দেখা যায় ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়।[১] এটি কেউটে সাপের ভেতরে সবচেয়ে দীর্ঘ এবং এটির সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য হতে পারে ২.১ মি (৬ ফু ১১ ইঞ্চি)।


বর্ণনা

ডোরা কাল কেউটে সাপের দৈর্ঘ্য ১৫০ সেমি, সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ২২৫ সেমি পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে। সদ্য প্রস্ফুটিত অবস্থায় এদের দৈর্ঘ্য ২০ থেকে ৪০ সেমি উল্লেখ করা হয়েছে।[



স্বভাব

ডোরা কাল কেউটে সাপ সমতল ভূমির উন্মুক্ত স্থানে বাস করে। তবে পাহাড়ি জলস্রোতেও এদের দেখা যায়। এরা ধীর গতিসম্পন্ন এবং তীব্র বিষ ধারণ করে। স্ত্রী সাপ এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে ৪ থেকে ১৪টি ডিম দেয় এবং ডিমের পরিস্ফুটনকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে। ডিমের পরিস্ফুটনের জন্য ৬১ দিন সময় লাগে।[৩]

বিস্তৃতি

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে ডোরা কাল কেউটে সাপকে বাংলাদেশের আবাসিক সাপ হিসেবে ধরা হয়েছে। এ প্রজাতির সাপ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ব্যাপক বিস্তৃত। এরা ভারত, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, লাওস, ম্যাকাও, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রুনেই অংশে পাওয়া যায়।[৩]

অবস্থা

আইইউসিএন এটিকে বাংলাদেশে বিপন্ন এবং বিশ্বে বিপদমুক্ত বলে বিবেচনা করে।[৩] বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[৪]
 

lapidae গোত্রের বিষাক্ত সাপ। বাংলাদেশে পাঁচ প্রজাতির শঙ্খিনী আছে। এদের মধ্যে দুটি প্রজাতি সুপরিচিত। একটি শঙ্খিনী বা শাখিনী সাপ Branded Krait  (Bungarus fasciatus), অতি সুন্দর ও চমৎকার নানা রঙে সজ্জিত, মাথা আকারে বেশ বড়, কালো রং, সারা শরীর জুড়ে পরপর কালো ও হলুদ ডোরা। দৈর্ঘ্য দুই মিটারের কম, থাকে গভীর বনাঞ্চলে ও গ্রামীণ বনে।

শঙ্খিনী সর্পভুক। বিষহীন ও বিষধর দুই ধরনের সাপই খায়। মূলত নিশাচর, রাতেই চলাফেরা এবং শিকার করে। দ্বিতীয় সাপটি কালকেউটে Common Krait (B. caeuleus), বাংলাদেশে সম্ভবত এটিই সবচেয়ে মারাত্মক বিষধর সাপ। দেহের রং ধূসর কালো, তাতে অন্য কোন রঙের দাগ থাকে না। দৈর্ঘ্যে দুই মিটারের চেয়ে কম, কাঠ বা ইটের স্তূপের নিচে লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে। কালকেউটেও অন্য সাপ ও ছোট প্রাণী খায়। শঙ্খিনী বা কালকেউটের চামড়ার বাজার দর খুব চড়া। [আলী রেজা খান]

No comments:

Post a Comment